শরমিতা লায়লা প্রমিঃ অনেক বার সতর্ক করার পরও কিছু নেতা, আমলা, এমপির অনমনীয় মনোভাব বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িত থাকাসহ দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি, হাইব্রিডদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া, অসহায় নেতা কর্মীদের অবহেলা করা এবং কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করা নানা অভিযোগে ক্ষুব্ধ শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযান চালানোর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগ সুপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হঠাৎ করেই শেখ হাসিনা যেন অচেনা হয়ে গেছেন। অচেনা হয়ে গেছেন দলের নেতাকর্মীদের কাছে। দুর্বোধ্যে হয়ে গেছেন প্রশাসনের কাছে। শেখ হাসিনা পরবর্তী কি সিদ্ধান্ত নিবেন সে ব্যাপারে জানেন না অনেকেই। এমনকি তার ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজনরা পর্যন্ত জানেন না তার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে! তবে শেখ হাসিনাকে নিয়ে যারা পর্য’বেক্ষণ করেন এবং গবেষণা করেন, তারা বলছেন যে, ‘তৃতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনা অত্যন্ত কঠোর হয়েছেন জনগণের স্বার্থে। তিনি জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। জনগণের দৃষ্টি’ভঙ্গিতে তিনি আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের সমস্যাগুলোকে দেখছেন। সেমতেই তিনি ব্য’বস্থা নিচ্ছেন।*এটাই একজন রাষ্ট্রনায়কের বৈশিষ্ট এবং দূর’দৃষ্টি। ছাত্রলীগের শীর্ষ ২ নেতাকে সরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে অচেনা শেখ হাসিনাকে আবিষ্কার করতে শুরু করছে আওয়ামী লীগ এবং প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। এদের সরিয়ে দেওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি যে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এখানেই শেষ নয়। এরপরেও তিনি অন্য সংগঠনগুলোর ক্যাডার সন্ত্রাসিদের সম্বন্ধে নানা রকম তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের যে শুদ্ধি অভিযান। সেই শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে আরো অনেকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একটা দল টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় রয়েছে। কাজেই এই দলের সংগঠনের মধ্যে নানা রকম স্বার্থান্বেষী মহলের অনভিপ্রেত করা যেমন স্বাভাবিক, তেমনি দলের নেতাকর্মীরা ধরাকে সরা জ্ঞান করার মনোভাব তৈরী হওয়াও অত্যন্ত স্বাভাবিক। দেশটা তাদের দখলে। যেকোন টেন্ডার, যেকোন ব্যবসা, যেকোন চাঁদাবাজি তারা করতে পারে। তারা আইনের উদ্ধে এমন ধারণা তৈরীই হতে পারে। শেখ হাসিনা এই ধারণাকে ভেঙ্গে দিতে চান। ধারণাটি ভেঙ্গে দেওয়ার জন্যই তিনি লৌহমানবীর রূপে আর্বিভূত হয়েছেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পর্যন্ত আজ গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন যে, দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হবেন তা ঠিক করবেন দলের সভাপতি নিজেই। অর্থ্যাৎ তিনিও তার চেয়ারটি সম্বন্ধে নিশ্চিত নন। আওয়ামী লীগের অন্য সিনিয়র নেতারাও জানেন না, দল কোন পথে এগুবে, আগামীকাল শেখ হাসিনা কি সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন, তা বিপুলভাবে জনগণের কাছে প্রশংসিত এবং আদৃত হচ্ছে। জনগণ মনে করছে তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন দেশপ্রেমিক এবং রাষ্ট্রনায়ক। শুধু সংগঠন নয়, প্রশাসনের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটছে। পরিশেষে বলা যায় দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল এটাই প্রমান করবেন শেখ হাসিনা, এই দুষ্টদের জন্য কেহ যে আর একটা ১৫ই আগস্ট এর মতো পরিবেশ বিএনপি-জামাত ক্ষমতা লিপ্সুমহলকে তৈরি করে দিতে না পারে আর জনগণের সুখ শান্তি নষ্ট করে অধিকার হরন করতে না পারে সেটাই শেখ হাসিনার লক্ষ্য বলে অনেকে মনে করেন।
ক্ষমতার জোয়ারে আওয়ামী লীগে ডুকে পড়া আবর্জনা মুক্ত করে, ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগকে জনগনের বন্ধু হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন।