চয়নিকা প্রতিবেদন।।গত ৫ই ফেবুয়ারী নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস পালন উপলক্ষে ইউনিসেফ এর জরিপে দেখা যায় ১০-১৭ বছর বয়সী শিশু কিশোর ও কিশোরী যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে তাদের মধ্যে শতকরা ৩২% জন সহিংসতার ঝুঁকিতে রয়েছে। ১২৮১ জন কিশোর কিশোরীর মধ্যে জরিপ চালিয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে। উক্ত জরিপে আরো বলা হয় এসব শিশু কিশোর ও কিশোরীরা নিজস্ব আলাদা বেডরুম ব্যবহার করে থাকে।
অপ্রিয় সত্য হলো যে, আমাদের দেশের স্বচ্ছল পরিবারগুলি এবং বিশেষ করে প্রবাসীদের শিশু কিশোর ও কিশোরী সন্তানদের প্রত্যেকের হাতেই থাকে অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন।এরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোবাইল সেটের মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ পর্ণোগ্রাফি ছবি দেখে থাকে এবং এরা পড়ালেখায় অমনোযোগী। এদের মধ্যে অনেকেই পরীক্ষায় ডাব্বা মেরে থাকে। এসব শিশু কিশোর ও কিশোরীদের মা বাবারা ও তাদের সন্তানদের প্রতি অমনোযোগী।বিশেষ করে প্রবাসী বাবা ও মায়ের সন্তানের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক মোবাইল সেট।এসব শিশু কিশোর ও কিশোরীরা মোবাইল সেট নিয়েই সারাক্ষন ব্যস্ত থাকে এবং অশ্লীল ছবি দেখে থাকে।আমার প্রতিবেশি দুই কিশোরী যারা এবার সপ্তম শ্রেণীতে ডাব্বা মেরেছে এরা দুজনে মিলে প্রায়ই গোসলখানায় ঢুকে দরজা বন্ধ করে মোবাইলে নীল ছবি দেখে থাকে। এদের বাবা ও মায়েরা তা দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসব অশ্লীল ছবি দেখার কারণেই সমাজে ধর্ষন ও শিশু ধর্ষন বেড়ে গিয়েছে।
অতএব, বুদ্ধিমান অভিভাবকগনণ অবশ্যই সন্তানের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের জন্য এসব কুরুচিপূর্ণ ছায়াছবি দেখা থেকে বিরত রাখবেন।প্রনেতাঃ শেখ মোঃ আলী আকবর