ছাত্রলীগ,যুবলীগের সাবেক তৃণমূল নেতারা আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা কমিটিতে স্থান পেতে চায়।
শরমিতা লায়লা প্রমিঃ ছাত্রলীগ এর রাজনীতি আদর্শের রাজনীতি, রাজপথের রাজনীতি, ছাত্রলীগকে বলা হয় আওয়ামী লীগের হৃৎপিণ্ড, ছাত্রলীগ আপোষহীন রাজনীতি করে, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর শেখ হাসিনার নেতৃত্ব নিয়ে কখনও আপোষ করে না। তবে কিছু আদর্শহীন ছাত্র পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগে ডুকে পড়েছে, ছাত্রলীগের বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হয়ে ছাত্রলীগের ইমেজ নষ্ট করছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কিছু আদর্শহীন নেতা তাদের নিজ স্বার্থে বিভিন্ন গ্রুপ- তৈরি করে ক্ষমতার দন্ধে জড়িয়ে পরছে, এই ক্ষেত্রে তারা ছাত্রলীগ নেতা কর্মিকে পেশীশক্তি হিসাবে ব্যবহার করছে, তার খেসারত দিতে হচ্ছে ছাত্রলীগকে। তাছাড়া সাবেক ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা কর্মীদের আওয়ামী লীগ কমিটিতে যথাযথভাবে জায়গা দিচ্ছে না কারন ছাত্র লিগের নেতা কর্মীরা নীতি আদর্শের সাথে আপোষ করে না, চামচাগিরি জানে না, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, তাই নেতা, মন্ত্রি, এম পিরা তাদের চামচা ধরনের লোকদের দলীয় পদ মর্যাদা দিয়ে থাকে, আর দীর্ঘ দিন রাজনীতি কর্মকাণ্ডে অবদান রাখা এই সকল পদ বঞ্চিত ছাত্রলীগ – যুব লীগের সাবেক নেতা কর্মীরা হতাশা আর ক্ষোভ সম্বরণ করতে না পেরে বিভিন্ন ধরনের কাজে জড়িয়ে পরে, এর জন্য দায়ী আওয়ামী লীগের নীতি নিদ্ধারন মহল, কেন এমন আইন করা হয় না যাতে ছাত্রলিগ আর যুবলীগ সাবেক নেতা কর্মীদের কমিটি গঠনে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়। তেমনি টঙ্গিবাড়ি উপজেলার একদল সাবেক ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাদের সাথে দেখা হয়, কমিটি গঠন নিয়ে প্রস্তুতি মতবিনিময়ের সভায়, তারাও চান তাদের যেন ওয়ার্ড / ইউনিয়ন / উপজেলা কিমিটিতে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়। আমার ধারনা যেখানে মন্ত্রী – এম.পি, নেতারা তাদের পছন্দের চামচা, সমর্থক আর স্বজন বহরদের তকবীরে নাভিশ্বাস সেখানে ছাত্রলীগ আর যুবলীগের আদর্শবান সাবেক নেতাদের কপালে কোন পথ জুটবে বলে মনে হয় না।