শরমিতা লায়লা প্রমিঃ কয়লার ময়লা যায় না ধুইলে আর মানুষের খাসালত বদলায় না মরলে, বিএনপি এবং ঐক্য জোটের নেতারা জামাতের সাথে একই মঞ্চে বসে দুর্নীতির সাজাপ্রাপ্ত আসামী কারাবন্দী খালেদার জিয়ার মুক্তি দাবি করলেন, শুধু মুক্তিই দাবি করলেন না তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় ফাঁসি কার্যকর নিয়েও ব্যাঙ্গাত্বক বক্তব্য দিলেন, তাদের ভাষায় বিএনপি-জামাত নেতাদের নাকি অন্যায়ভাবে ফাঁসী দেওয়া হয়েছে, তারা একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ করে অপরাধ করে নাই, তাদের ভাষায় তারা জনপ্রিয় নেতা, আরও বলেন যুদ্ধাপরাধী সাঈদি আর খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্ধি করে রাখা হয়েছে, তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে।
গয়েস্বর আর মউদুদ বলেন খালেদা আর সাইদি মুক্তি পাবে আর শেখ হাসিনা পালানোর সুযোগ পাবে না। আসলে বিএনপি, গণফোরাম ও সমমনা রাজনৈতিক দলের সাথে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে ঐক্য গড়ে তাদের এই বক্তব্যে মনে হয় তারা আসল চেহারায় ফিরে এসেছে, একাত্তরের হায়েনা আর নরপিচাশ খুনি রাজাকার জামাত আর বি.এন.পির যে চরিত্রগত তফাত নাই সেটা আবারো প্রমানিত হল।আর স্বাধীনতা, নুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধুর বুলি আওড়ানো ড. কামাল, কাদের ছিদ্দিকিগং যে ক্ষমতার লোভে চরিত্র বদলিয়ে এই খুনি যুদ্ধাপরাধী,স্বাধীনতা বিরোধী জামাত আর বি এন পির সাথে ঐক্য ও সখ্যতা গরে তুলেছে, নিজেরদের নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।এই কথাটা শত ভাগ সত্যি একজন মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার হতে পারে, একজন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না, নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শবান বলে যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে আঁতাত ও প্রিত করা ড. কামাল আর ছিদ্দিকিরা জামাত-বিএনপি সাথে ঐক্য গড়ে যুদ্ধাপরাধী আর দুর্নীতিবাজদের মুক্তি দাবি করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার রায় নিয়ে ব্যাঙ্গাত্বক মন্তব্যের মধ্যেই প্রকাশ পায় তাদের আসল চরিত্র, সেই চরিত্র হল একজন রাজাকার, একজন বঙ্গবন্ধুর খুনি, একজন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী, আর একজন মুস্তাকের চরিত্র।