তৃনমূলে কমিটি গঠন নিয়ে নৌকা ও বিদ্রোহীদের প্রচণ্ড বিরোধ, নেত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা।
শরমিতা লায়লা প্রমিঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃণমূলে কমিটি গঠন নিয়ে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে যে সকল এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন করেছে, সেই সকল এলাকায় নৌকার সমর্থক আর বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে প্রচণ্ড বিরোধ দেখা যাচ্ছে, নিজ নিজ এলাকায় যার যার পছন্দের লোকদের কমিটি গঠনে প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে। এতে করে অনেক পরিক্ষিত নেতা কর্মী কমিটি থেকে বাদ পরে যাচ্ছে।এই সুযোগে অনুপ্রবেশকারী বি এন পি- জামাত আর রাজাকার পরিবারের লোকজন এমন কি সন্ত্রাসী মাদক কারবারি, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিপরায়ন অর্থশালী লোকজন কমিটির গুরুপ্তপুন্ন পদে ডুকে করছে।আর সত্যিকারের পোড়া খাওয়া নেতা কর্মীরা বাদ পরে শীর্ষ নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।এই হোল সত্যকারের নেতা কর্মীদের রাজনীতির বলি, এক কথায় বলা যায় নিয়তি। যারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অবদান রেখেছেন, মামলায় মুকদ্দমার মাধ্যমে হয়রানীর শিকার হয়েছেন, সহায় সম্পত্তি খুইয়েছেন, বঙ্গবন্ধুকে অন্তরে ধারন করে আওয়ামী লিগের পতাকা আঁকড়ে রেখেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা বিশ্বাস রেখে, নেত্রীকে ভালবেসেছেন। তাদের প্রতি এই অবহেলা, অপমান, এই পরিনিতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নীতি-আদর্শের পরিপন্থী বলে অনেকে মনে করে।
আসলে যারা নৌকার পক্ষে নির্বাচন করেছেন, তারা অর্থের কাছে নিজের নীতির বলি দেন নাই, তারা প্রার্থী চিনেন নাই, চিনেছেন শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু আর আওয়ামী লীগের নৌকা তাই তাদের কেহ বশ করতে পারে নাই, নেতা, প্রভাবশালী আর গুন্ডা পাণ্ডাদের ভয় ভীতি অপেক্ষা করে নৌকার পক্ষে আবিচল থেকে নির্বাচন করেছেন। আর যারা নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে শেখ হাসিনার নির্দেশ অপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তার অর্থশালী, অনুপ্রবেশকারী তাদের সমর্থক বেশি ছিল জামাত, রাজাকার, বি.এন.পি স্বাধীনতা বিরোধী লোকজন, সত্যিকারের আওয়ামী লীগের লোকজন কমই ছিল, কিছু নেতা-কর্মী অর্থের কাছে, নেতার কথায় বিক্রি হয়েছে। তারাই বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোট ভাণ্ডার, তাদের আত্মতৃপ্তি হোল আওয়ামী লীগের নৌকা আর শেখ হাসিনার প্রার্থীকে পরাজিত করার মধ্যে। তারা এখন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা কমিটি গঠন সময় সত্যিকারের আওয়ামী লীগের লোকজনকে বাদ দিয়ে বি এন পি, জামাতি, আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে কমিটি গঠন করছে, যেখানে যা যা দরকার তাই তাই করছে, কারন তাদের আয় উপার্জন ভাল, তাই খরচ করতে অসুবিধা হচ্ছে না। অনেকের ধারনা ভবিষ্যতে এই জন্য আওয়ামী লীগকে আন্দোলন সংগ্রামে চরম মুল্য দিতে হবে, ব্যাঙ যেমন এক পাল্লায় মাপা যায় না , দল ছুটদের তেমন একদলে রাখা যায় না, তারা মধু পিপাসু ভ্রমর, যেখানে মধু সেখানে তাদের বিচরন।
মাননীয় সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিল, বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন করেছে, দলিয় চেন অব কমান্ড ধরে রাখতে তাদের সাঁজা কাম্য ছিল, এই সাধারন ক্ষমা তাদের অবাধ্য করে তুলছে, তারা যেখানে নৌকার সমর্থক যাকে পাছে তাকেই জেদি ষাঁড়ের মতো গুতাচ্ছে, আপনি এই গুঁতা থেকে আওয়ামী লিগের নিরিহ তৃণমূল নেতা কর্মীদের বাঁচান, সম্মান রক্ষা করুন, কারন আপনি যে এই নিরিহ বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের অবিভাবক- মা।