চেতনায় একাত্তর ডেস্কঃ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে খুবই শক্ত অবস্থানে নিয়ে ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যার পরিপ্রেক্ষিতিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আর বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকদের যাদের দলীয় পদপদবি আছে তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত মতে কারন দর্শানোর চিঠি দেওয়া হচ্ছে, এটা ঠিক চিঠি দেওয়া হবে আর কারণও দর্শাতে হবে, তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ মহল চান না, যারা দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন, আন্দোলন সংগ্রামে ও দলীয় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে অবদান রেখেছেন তাদেরকে বহিস্কার করা হোক।
তাই শীর্ষ পয্যায়ের নেতৃবৃন্দ জরীপের রিপোর্টে দেখেছেন দলীয় হাইব্রিডদেরই (যারা ১৯৯৬ সালে এবং ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিল) তাদেরই বেশী সংখ্যক প্রার্থীকে দলীয় পরিক্ষিত নেতা কর্মীরা একজোট হয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে হাইব্রিডদের পরাজিত করেছেন এই রিপোর্ট দেখে দলীয় প্রধান এখন অন্য কিছু ভাবছেন বরঞ্চ হাইব্রিড এবং বি এন পি- জামাত থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া এবং কাদের মাধ্যমে যোগ দিয়েছিল তাদের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া
এবং যারা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন, তারা যেন ভবিষ্যতে এই ধরনের অপকর্ম না করে, সেই বিষয় তাদের কিছুটা হলেও শাস্তি পেতে হতে পারে, প্রয়োজনে বিদ্রোহীদের কাছ থেকে মুচলেখা নেওয়া হতে পারে। তাই টঙ্গিবাড়ি উপজেলা পরিষদের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতুর এর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ হারানোর সম্ভাবনা কর, বরঞ্চ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পয্যায় থেকে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে,
কিভাবে বিজয়ী এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের এলাকার উন্নয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ন্যায় কাজ করতে পারে। তবে দলীয় ঐক্য শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টকারিদের বিষয় কোনভাবে ছাড় না দেওয়ার বিষয় কঠোর অবস্থান গ্রহন করেছে।