চেতনায় একাত্তর ডেস্কঃ সম্প্রতি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ইন্তেকাল করিলে জাতীয় পার্টির দুই শীর্ষ নেতা এরশাদের প্রথমা স্ত্রী রওশন এরশাদ আর ছোট ভাই জি এম কাদের এর মধ্যে দলীয় চেয়ারম্যান ও সংসদীয় নেতা কে হবেন নিয়ে দন্ধ চরম আকার ধারন করছে, এতে জাতীয় পার্টির বিভক্তির সম্ভাবনা লক্ষণীয় । এরশাদ জীবিত থাকাকালীন সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বেগব রওশন এরশাদ ছিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা ও পার্টির কো চেয়ারম্যান, আর জি এম কাদের ছিলেন পার্টির প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য,
জি এম কাদের অনুসারীদের দাবি মৃত্যুর কিছু পূর্বে এরশাদ পত্র প্রেরণের মাধ্যমে জানিয়েছেন আমার মৃত্যুর পর আমার ছোট ভাই জি এম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হবে, রওশন এরশাদ সমর্থকরা এই পত্র নাকচ করে দিয়েছেন, তাদের বক্তব্য দীর্ঘদিন এরশাদ দেশ- বিদেশ-এ চিকিৎসা নিয়েছিলেন, শেষ পয্যায় সি এম এইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন , কিছুদিন কোমায়ও ছিলেন, মৃত্যুর আগে পত্র প্রেরন রহস্যময় । অথচ এরশাদ সমর্থকদের আশাবাদ ছিল জীবিত এরশাদের চেয়ে রাজনীতিতে মৃত্যু এরশাদ আরও শক্তিশালী হবে, বর্তমানে যে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, ভাবী আর দেবর দলীয় পদ নিয়ে যে দন্ধে জড়িয়ে পরছে,
তাতে বি.এন.পিসহ অন্যান্য রাজনৈতিকদলসমুহ তাদের সুবিধামতে এই বিরোধের আগুনে ঘি ডেলে দিবে যাতে জাতীয় পার্টি জ্বলে-পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়, তাই সময় থাকতে ভাবী আর দেবরকে সতর্ক হতে হবে, উভয় পক্ষকে ছাড় দিয়ে হলেও মাঠ পয্যায় কর্মীদের মনবল ঠিক রাখতে নিজেদের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করে জাতীয় পার্টি র ঐক্য দুইজনকে ঐক্যবদ্ধভাবে ধরে রাখতে হবে, এই ক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নাই। তাহলেই এরশাদের সপ্ন পুরন হবে, সামনের দিনগুলোতে জাতীয় রাজনীতিতে মৃত্যু এরশাদ আরও শক্তিশালী হবে, পল্লিবন্ধু এরশাদ বাংলাদেশ এর জাতীয় রাজনীতির ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।