নারায়ণগঞ্জের তল্ল্যায় মসজিদে বিস্ফোরণ,এসি নয়, বিস্ফোরণের উৎস গ্যাস
চেতনায় ডেস্কঃ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাছের শিল্প শহর নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে গেলে বহু মানুষ গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানান, নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত মসজিদে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, রাত সাড়ে আটটার দিকে মসজিদে প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় । এরপর মসজিদে আগুন ধরে যায়।এশার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে রাতে শতাধিক মুসল্লি এসেছিলেন। নামাজ শেষে এদের অনেকে তখনো মসজিদেই ছিলেন। ঠিক তখনই বিস্ফোরণ হয়।গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ৩৭ জনকে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।আহতদের মধ্যে চিকিৎসাধীন ১৬জন মারা গেছে,বাকিরাও আশঙ্কা মুক্ত নয়,
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার প্রকল্প পরিচালক (পিআইও) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হাসপাতাল থেকে লাশ আনা ও দাফনের জন্য নিহতের পরিবারকে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অনুদান হিসেবে ২০হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো.জসিম উদ্দিন শনিবার সকালে এ ঘোষণা দেন।
এদের অনেকের অবস্থা বেশ সংকটজনক বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। মসজিদের ইমাম এবং ৭ বছর বয়সী এক শিশুও এদের মধ্যে আছে।নারায়ণগঞ্জের দমকল বাহিনীর উপ পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বিবিসিকে জানিয়েছেন, মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছেন।তিনি জানান, মসজিদটির মেঝের নীচ দিয়ে গ্যাসের পাইপ গেছে। সেই পাইপে ফুটো হয়ে মসজিদের ভেতরে হয়তো অনেক গ্যাস জমে ছিল। এই অবস্থায় কেউ ভেতরে ইলেকট্রিক সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেখান থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে গেছে। তারপর মসজিদের এয়ার কন্ডিশনারগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছে।আবার কেহ কেহ নাশকতার বিষয় উড়িয়ে দিচ্ছে না, তবে বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত্রে বিস্তারিত প্রকাশ পাবে বলে এলাকাবাসী মনে করে।

Comments are closed.