ডেস্ক নিউজঃ ভারতে বন্যা এবং রফতানি বন্ধ হওয়ায় ৪০/৪৫ টাকায় পেঁয়াজ এর দাম অসহনীয় ভাবে বেড়েই চলছে, বাড়তে বাড়তে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের প্রতিকেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এতে সাধারন মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়, শুরু হয় পিয়াজ রাজনীতি বানিজ্য মন্ত্রণালয় হন্য হয়ে দেশ বিদেশে পিয়াজের খুজে বেড়িয়ে পরে, কিন্তু ফলাফল শুন্য সব খানে পিয়াজের দাম চড়া, তাই দাম বাড়ার এই হিড়িক থামানো সম্ভব হয় না, কথায় বলে না হিড়িকে বাঙালি, তাই সব রাজনীতি ছেড়ে পিয়াজ রাজনীতিতে সবাই জড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, নিন্ম আয়ের মানুষের কথা মাথায় রেখে রাজধানীতে ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনছেন সাধারণ মানুষ।ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ট্রাকে করে ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। এসময় দেখা যায়, পেঁয়াজ কিনতে মানুষের লম্বা সারি। প্রায় এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ালে মিলছে পেঁয়াজ।
ঘণ্টাখানেক লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনেছেন জসিম উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো সমস্যা হয়নি। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা দরে কেনা যাচ্ছে।
টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ুন কবির বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে ৩৫টি ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ডিলার কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা দরে প্রতিদিন এক হাজার কেজি (এক টন) পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
গত মাসে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয় প্রতিবেশী দেশ ভারত। এর পরপরই হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। আমদানি করা পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজি ৯০-১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৪০-১৫০ টাকা।