বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত মিরকাদিমের মিরবাড়ি
সম্পাদক চেতনায় একাত্তরঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পঞ্চাশ দশক-এ তার নিজের ভাগ্নির বাড়িতে এসে মাঝে মধ্যেই বিশ্রাম নিতেন ২/৩ দিন থাকেতেন, স্থানীয় পুকুরে গোসল করতেন। পুকুরের তাজা মাছ এবং ক্ষেতের তাজা শাঁক-সবজি দিয়ে ভাত থেতে পছন্দ করতেন, নিজস্ব গরুর খাটি দুধও বঙ্গবন্ধুর পছন্দের তালিকায় ছিল। যতদিন মির বাড়িতে থাকতেন বই পড়তেন, রেডিও শুনতেন আর গল্প করতেন। বঙ্গবন্ধু খুবই আমুদে ও হাঁসি খুশী মনের মানুষ ছিলেন, ছিলেন অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী, বাড়ির ছোট-বড়, শিশু-বৃদ্ধ সকলের সাথে আন্তরিকতার সাথে আলাপ আলোচনা করতেন। তিনি মাঝে মাঝে মির বাড়ির উত্তর পাশে উপস্থিত ইতিহাসখ্যাত বাবা শহীদ আদম (রাঃ) মসজিদে নামাজ পড়তে যেতেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন মিরকাদিম পৌরসভার দরগা বাড়ি গ্রামের মিরবাড়ির মির আশরাফ উদ্দিন আহাম্মেদ মাখন এর সাথে বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নি মোসাম্মৎমাহমুদা বেগম এর বিবাহ হয়।
মাহমুদা বেগম বঙ্গবন্ধুর বড় বোন ফাতেমা বেগম এর মেয়ে। মাত্র ২০ বছর বয়সে ফাতেমা বেগম দুই সন্তান ছেলে ইলিয়াস আলী আর মেয়ে মাহমুদা বেগমকে নিয়ে বিধবা হন। সঙ্গতকারনেই মহৎ হৃদয়ের অধিকারী বঙ্গবন্ধু বড় বোনের ছেলে-মেয়ে ভাগ্না আর ভাগ্নিকে খুবই আদর করতেন। তাই ভাগ্নি মাহমুদা বেগমকে প্রায়ই দেখতে চলে আসতেন ভাগ্নির শশুর বাড়ি মিরকাদিমের দরগা বাড়ির মিরবাড়িতে, অনেক সময় ২/১ দিন থেকেও যেতেন ভাগ্নির বাড়িতে, ভাগ্নিকে বাবার অভাব বুজতে দিতেন না, আনন্দে রাখতে চেষ্টা করতেন। বঙ্গবন্ধু যখনই নারায়ণগঞ্জে বর্তমান এম.পি. শামিম ওচমানের পিতার বাড়িতে মিটিং, সভা- সমাবেশ করতে আসতেন তার ২/১ দিন আগে ঢাকা থেকে ষ্টীমার যোগে মিরকাদিমের কমলাঘাট বন্দরে নেমে মিরবাড়িতে যেতেন ভাগ্নিকে দেখতে। ভাগ্নি মাহমুদার বাড়িতে ২/১ দিন বিশ্রাম নিয়ে ষ্টীমার যোগে নারায়ণগঞ্জ চলে যেতেন।ভাগ্নি বাড়িতে থাকা অবস্থায় তিনি স্থানীয় বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে মিটিং করেছেন বলেও জান যায়।