সম্ভাব্য আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর নির্বাচনে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। অন্যদল থেকে আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়া, সুবিধাবাদী বা বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্তরা যেন কাউন্সিলর’ না হতে পারেন, সেজন্য এখন থেকেই কেন্দ্র থেকে সতর্ক বার্তা দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা বলেছেন, এবার আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হবে সত্যিকারের আওয়ামী লীগারদের মিলন মেলা। জানা গেছে, কারা কাউন্সিলর হতে পারবে এ সংক্রান্ত ১০ দফা একটি নির্দেশনা তৈরী হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি অনুমোদন দিলে ঈদের পর তা জেলায় পাঠানো হবে।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৬ ধারায় কাউন্সিলর সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। ৬(ঘ) ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক মহানগর ও জেলার প্রতি ২৫(পঁচিশ) হাজার জনসংখ্যার জন্য একজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন। ভগ্রাংশের ক্ষেত্রে প্রতি ১২ হাজারের অধিক জনগোষ্ঠীর জন্য একজন কাউন্সিলর হবেন। গঠনতন্ত্রের ৬(গ) ধারায় বলা হয়েছে। কোন জেলা বা মহানগর কমিটি যদি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন করতে না পারে সেক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটি ঐ জেলার জন্য কাউন্সিলর নির্বাচন করবে।

আওয়ামী
লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে,
এবার
জেলা এবং মহানগর কমিটিকে
কাউন্সিলর নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিচ্ছে। জেলা
ও মহানগর
সম্মেলনে কাউন্সিলর নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে হবে সেগুলো হলো
১, কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে হলে
২০০৮ সাল বা তার পূর্বে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে হবে।
২.
বিএনপি এবং জামাত থেকে বিএনপিতে আসা কেউ ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা বা অন্যকোন জনপ্রতিনিধি
হলেও কাউন্সিলর হতে পারবেন না।
৩.সন্ত্রাস
ও চাঁদাবাজির মামলায় অভিযুক্ত কেউ কাউন্সিলর হতে পারবে না।
৪.
জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মর্মে অভিযুক্ত কাউকে কাউন্সিলর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
করা যাবে না।
৫.
মাদক ব্যবসায়ে জড়িত এমন তালিকাভুক্ত কেউ কাউন্সিলর হতে পারবে না।
৬.
দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কেউ কাউন্সিলর হতে পারবেন না।
৭.
নারী নির্যাতন বা যৌন হয়রানীর অভিযোগে অভিযুক্ত কেউ কাউন্সিলর হতে পারবে না।
৮. দলের সিদ্ধান্ত লঙ্গন করে যারা কোন পর্যায়ের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের
বিরুদ্ধে
স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছে তাঁরা কাউন্সিলর হতে পারবেন না।
৯, জেলা ও মহানগর পর্যায়ে নেতাদের
ব্যাক্তিগত কর্মচারীদের কাউন্সিলর করা যাবে না।
১০, মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যদের পিএস, এপিএস, বা ব্যাক্তিগত কর্মকর্তারা কাউন্সিলর হতে পারবে না। এই নির্দেশনা মেনে সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা ও মহানগরীতে সম্মেলন করে কাউন্সিলর চূড়ান্ত করতে
হবে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী
সংসদের সদস্যরা পদাধিকার বলে
কাউন্সিলর
নির্বাচিত হন।