শামীম হোসেনঃ রাজনীতির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে অপরাজনীতির অপ-প্রচার আর অপকৌশলের শিকার হলেন ই মুন্সীগঞ্জের সর্বজন শ্রদ্ধেয় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন। রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনের ফুটপাতে তথাকথিত মানববন্ধনের নামে মোঃ মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার মুন্সিগঞ্জবাসীর ললাটে কলংক লেপনের সমার্থক বলে প্রায় সকলেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। জেলার সাধারন মানুষের একটাই প্রশ্ন, এই মুখোশধারীরা কারা? কি কারনে এই বানোয়াট ভিত্তিহীন অপপ্রচার করেছেন? তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।অসংখ্য নেতাকর্মী সমর্থক উত্তপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন তথাকথিত মানববন্ধনে তৃনমুল আওয়ামী লীগ নেতা নামধারী আল আমিন, হাসান, শ্যামল, লিমন এরা কারা? এই মুখোশধারীরা জেলার কোন দলীয় পদ পদবী বা সমর্থক হলেও নিশ্চয়ই তাদের কথিত এলাকার কেউ না কেউ চিনতেন।উল্লেখিত এলাকায় খোজ নিয়ে জানা যায় এই নামে তৃনমূলে কেউ নেই !
নেতাকর্মীরা বলেন সৎ সাহস থাকলে অন্তরালে না থেকে মুখোশ উন্মুক্ত করে সাধারন মানুষের কাতারে দাড়ান।মুন্সীগঞ্জের মা -মাটি ও মানুষের আস্থা- ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল তথা নিষ্কন্ঠক অভিভাবক মোঃ মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার কেউ মেনে নেয়নি বলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেতাকর্মীরা। মহিউদ্দিনের একান্ত স্নেহধন্য জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন ” ভাড়াটে লোকজন দিয়ে একটি কুচক্রী মহল এই অপপ্রচার চালিয়েছে।বানোয়াট অসত্য ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করে চেলা চামুন্ডাদের কাছে খনিকের বাহবা পাওয়া যায়, কিন্তু সাধারন মানুষ তা সহসাই প্রত্যাখ্যান করেছে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন”। তিনি আরও বলেন “অপ রাজনীতিকরা গাত্রদাহ অন্তরজালা রাজনীতিতে প্রত্যাখ্যাত হয়ে, দেশরত্ন শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর নৌকার বীরুধে বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচন করে জনগন দ্বারা প্রত্যাখ্যান হয়ে এই অপপ্রচার চালিয়েছে”।সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি হাজী আফছার উদ্দিন ভুইয়া বলেন, “মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ৫ টি চরাঞ্চলে খুন খারাবি , সন্ত্রাস- চাদাবাজি, ত্রাস প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছিল নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। অন্তত বিগত এক যুগ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন এর ইস্পাত কঠিন সুদৃঢ় নেত্রীত্বে এখন উক্ত চরাঞ্চলে বইছে প্রশান্তির সুবাতাস। যারা এই শান্তিকে নস্যাৎ করে পুনরায় সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে ফায়দা লুটতে চায়, তারাই মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে” । তিনি আরও বলেন, কুচক্রী ষড়যন্ত্রকারীরা যতই অপপ্রচার চালাক না কেন, তাদের মুখোশ পরেই তা চালাতে হবে। কেননা মুন্সীগঞ্জের প্রবাদ প্রতীম রাজনীতিক তথা রাজনীতির লৌহমানব মোঃ মহিউদ্দিন কে সাধারন মানুষের মন থেকে বিন্দু পরিমানও ম্লান করা যাবেনা বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার সদ্য নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান, সরকারি হরগঙ্গা কলেজের সাবেক জি এস নাজমুল হাসান সোহেল বলেন “বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিশেষত মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬টি পদেই জনসাধারন থেকে প্রত্যাখ্যাত ভরাডুবির গাত্রদাহ থেকেই মোঃ মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে এই অপরাজনীতি”। সোহেল আরও বলেন মুন্সীগঞ্জের রাজনীতিতে উক্ত কুচক্রী রা কোন অবস্থান সৃস্টি করতে না পেরে এবং রাজনৈতিক দেউলিয়া পনা থেকেই মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে এই আসত্য অপপ্রচার”।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল মৃধা বলেন,” যাকে আদর্শ স্থিরে রাজনীতিতে হাতে খড়ি, যার পদাঙ্ক অনুসরনে নিজেকে সর্বাপেক্ষা গর্বীত অনুভব করি, সেই আদর্শিক প্রকৃত গনমানুষের নেতা মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে সর্ভৈব মিথ্যা অপপ্রচার রাজনীতিকেই কুঠারাঘাতের শামিল”। তিনি আরো বলেন বটবৃক্ষের ন্যায় মহিউদ্দিন দলীয় নেতা কর্মী সমর্থক সহ সাধারন মানুষকে ছায়া দিয়ে আগলে রেখেছেন। তার ছায়াতল প্রতিটি মানুষের কাছে সর্বোচ্চ নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত। জেলা যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খান তীব্র প্রতিবাদে বলেন , “জেলার রাজনীতিতে যারা প্রত্যাখ্যাত এবং সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে পারেন না তাদের পক্ষেই মোঃ মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার সম্বভ”। জেলা আওয়ামীলীগ ও প্রতিটি অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আমৃত্যু মোঃ মহিউদ্দিনের উপর আস্তাশীল ছিল এবং ভবিষ্যতে ও এর বিন্দু পরিমান ব্যত্যয় ঘটবে না বলে তিনি দৃঢ় মতামত পোষণ করেন। একদা বিএনপি-জামাতের অভয়ারন্য মুন্সীগঞ্জ আজ আওয়ামী লীগের জয় জয়কার। জেলার প্রাক্তন সংসদীয় ৪ টি আসনই এক যুগেরও অধিককাল বিএনপির দখলে ছিল। রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের অভিমত এক দিনে আজকের অবস্থান সৃষ্টি হয়নি। বর্তমানে আওয়ামী লীগের অধিনেই মুন্সীগঞ্জের ৩ টি সংসদীয় আসন।নিঃসন্দেহে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিনের সুদুরপ্রসারী নেতৃত্ব জেলায় দলীয় অবস্তান দৃঢ় থেকে সুদৃঢ় হয়েছে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।তাদের মতে মোঃ মহিউদ্দিনের বিরুেদ্ধ অপপ্রচার দলকে ধংস করার গভীর ষড়যন্ত্র।