মিরকাদিমে দুর্ধর্ষ ডাকাতি,ডাকাত দলের ব্যবহৃত টলার আটক
চেতনায় ডেস্কঃ ২৮জুলাই২০২০, রবিবার ভোররাতে আনুমানিক রাত ২/৩টার সময় ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে মিরকাদিম পৌর এলাকার ০৯ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত তিলারদি চর এলাকার খাদ্য গুডাউনের উত্তর পার্শ্ব ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী সাগর হোসেনের বাড়ীতে এক দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়। ২৫/৩০ জনের ডাকাত দল ট্রলার যোগে এসে বন্দুক, রাম দা, দেশীয় অস্রে সজ্জিত হয়ে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অতর্কিত বাড়ির ৪/৫ জন পুরুষ সদস্যকে মারধোর করে গুরুতর জখম করে এবং অস্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে আনুমানিক ৬/৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপি ডাকাত দল ডাকাতির এই তাণ্ডব চালায়, পাশে পাওয়ার হাউজের পাহারাদার মুবাইলের মাধ্যমে ডাকাতির ঘটনা পুলিশকে জানালে সাথে সাথে হাতিমারা পুলিশ ক্যাম্পের ৪/৫ জন পুলিশ রাত ৪ টার সময় এসে ঘটনাস্থল থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও ডাকাতদের ব্যবহৃত টস লাইট ও রামদা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে সকালে পুলিশ এসে ডাকাতির বিস্তারিত বিষয় অবহিত হন, পুলিশ ডাকাতির মামলার রজু করা হবে বলে জানান।

মঙ্গলবার ২৮ জুলাই ডাকাত দলের ব্যবহৃত ট্রলারটি বিকাল দুইটায় ঘটনাস্থল থেকে হাফ কিঃমিঃ দুরের নদীর ঘাট থেকে আটক করা হয়। ট্রলারটি যে ডাকাত দলের ব্যবহৃত ট্রলার সেই বিষয় নিশ্চিত করেন পার্শ্ববর্তী পার হাউজের পাহাড়াদার ও পাশের বাড়ীর কাজী সাহেব।, খবর পেয়ে হাতিমারা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ এস.আই রাজিব ও এনামুল জুয়েল ট্রলার আটক করেন এবং ট্রলারের একজন চালককে আটক করে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং পুলিশের কাছে টলার চালক আটককৃত টলার দিয়ে ডাকাত দল এসে ডাকাতির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।

এই ডাকাতির বিষয় এলাকার লোকজন খুবই আতঙ্খগ্রস্থ্য ও ভয়ভীতির মধ্যে আছে। এলাকার লোকজনের দাবী পুলিশ তরিৎ ব্যবস্থাগ্রহণের মাধ্যমে আটককৃত ট্রলার ও মাঝির সূত্র ধরে ডাকাত দলকে গ্রেফতার ও ডাকাতিকৃত মালামাল উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বন্যার এই সময় তিলারদি চর এলাকাটি পানিতে সয়লাব হয়ে যায়, এই সুযোগে ডাকাতরা ইঞ্জিনচালিত টলারে এসে ডাকাতি করে সটকে পরে, তাই এলাকায় নৌ পুলিশের টহল জোরদার করা অতি আবশ্যক বলে মিরকাদিম পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহাম্মেদ মনে করেন।
Comments are closed.