মিরকাদিমে ব্যাপক আয়োজনের মধ্যদিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়।
শরমিতা লায়লা প্রমিঃ মুন্সীগঞ্জ, ১৬ই ডিসেম্বর ২০১৯, মহান বিয়য় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মিরকাদিম পৌরসভার আয়োজনে একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। মিরকাদিম পৌরসভা মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা জেলার মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন, বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ লুতফর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিছ উজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহাম্মেদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক হাজি সামছুল কবির মাস্টার, সম্মানিত অতিথি সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল আহাম্মেদ, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের মোল্লা, ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহীদ, মিরকাদিম পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, রামপাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখ সহ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, পৃথিবীর কোন দেশে মুক্তিযোদ্ধা ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান আছে বলে আমার জানা নেই, শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করে এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিয়ে সম্মানিত করেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা বাড়তেই থাকবে, তাই আমাদের সেখ হাসিনার পাশে থেকে তাকে সমর্থন করে যেতে হবে।আনিছ উজ্জামান বলেন শাহিন আনারস মার্কার নির্বাচন না করায় এবং শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর নৌকা মার্কার পক্ষে নির্বাচন করায় আজ শাহিন ভাল না, শাহিনকে নানা ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে, ঢাকায় নৌকা – আওয়ামী লিগ আর এখানে আনারস এটা মেনে নেওয়া যায় না, শেখ লুতফর রহমান বলেন শাহিন মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে সম্মানিত করেছে তা আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, এই জন্য শাহিনকে ধন্যবাদ জানাই, সভাপতি বক্তব্যে মেয়র শাহিন বলেন বিগত ১০ বছর এম পি সাহেবের সাথে ছিলাম তখন তিনি আমার খুবই প্রশংসা করেছে, আজ তার কথা মতো আনাররের নির্বাচন না করে নৌকার নির্বাচন করায় আজ আমি খারাপ, শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দেওয়ায় আজ আমি মেয়র, আমি শেখ হাসিনার সাথে বেইমানী করতে পারি না, যতদিন রাজনীতি করবো নৌকার পক্ষেই রাজনীতি করব, কোন ভয় ভীতি হুমকি ধমকি আমাকে নৌকা থেকে নামাতে পারবে না ইনশাল্লাহ। সীমা লঙ্গন করবেন না, সীমা লঙ্গনকারিকে আল্লাহ্ ক্ষমা করে না। অনেকে আমাকে নানান কথা বলেন, আপনাদের জানা নেই আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান আমার আপন চাচা দেশের শ্রেষ্ঠ বার জন জাতীয় শিক্ষকের মধ্যে একজন আমার চাচা ড. সিরাজুল ইসলাম একজন শিক্ষাবিদ একজন মুক্তিযোদ্ধা সেই পরিবারের সন্তান আমি শহিদুল ইসলাম শাহিন।