
চেতনায় একাত্তর নিউজঃ সরকার ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন একাত্তরের রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারী হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হবে। সরকারী ঘোষিত নীতিমালার আলোকে মুক্তিযোদ্ধারা দেশের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে যান। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নানা ধরনের হয়রানীর মধ্যে পড়তে হয়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কিনতে হয়, তারপর সময়মত নির্ধারিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে সিরিয়াল মতো ডাক্তারের দেখা মিলে, ডাক্তারের সহকারীর কাছে রোগের বিবরণ দেওয়ার পর ডাক্তার অল্প সময়ের জন্য রোগীকে কিছু প্রশ্ন করে ব্যাবস্থাপত্র লিখে দেনএবং তাতে কিছু পরীক্ষার উল্লেখ থাকে, একমাস পর সাক্ষাৎ করার কথা বলেন। পরীক্ষা করতে গেলে সব পরীক্ষায় ৪০% নেওয়া হবে না, মেডিকেল অফিসারের অনুমতি লাগবে, মেডিক্যাল অফিসার জানতে চান কি করেন, আর্থিক অবস্থা কেমন ইত্যাদি প্রস্ন করে, সহানুভূতি দূরে থাক নানা ধরনের অপমানজনক কথা বলেন। সরকার অবগত আছেন মুক্তিযোদ্ধারা আজ জীবনের শেষ প্রান্তে উপনিত, বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত চিকিৎসার এই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব নয়। আর বৃদ্ধ বয়সে এতো আসা যাওয়া খুবই কষ্টদায়ক। তাই সবদিক বিবেচনায় আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা বিবেচনা করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি আলাদা হাসপাতাল নির্মাণ করা হোক, যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথভাবে চিকিৎসা সেবা পেতে পারে, অনাহুত সরকারী হাসপাতালের ডাক্তারদের অপমানজনক আচরন থেকে রক্ষা করুন। আর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য যে টাকা বরাদ্ধ প্রদান করা হয়, সেই অর্থ আত্মসাধ করার সুযোগ থাকবে না, আমদের মধ্যে এখনও পাকিস্তান প্রিতি এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী লোকের অভাব নাই, কিছু ডাক্তারের মাঝেও এই ধরনের চরিত্র প্রকাশ পায়। মুক্তিযোদ্ধা নাম শুনলেই তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। পরিশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নিকট সবিনয় আবেদন আপনি মুক্তিযোদ্ধাদের ভালভাবে বাঁচার জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতার ব্যাবস্থা করেছেন, চিকিৎসা সেবাদানের নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন, যাতে করে মুক্তিযোদ্ধারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিতে পারে সেই লক্ষে মাসিক চিকিৎসা ভাতা প্রদানের ব্যাবস্থা করে দেন।নিবেদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল রহিম, মিরকাদিম পৌরসভা, মুন্সীগঞ্জ