ডেস্ক নিউজঃ ৩রা ডিসেম্বর-২০১৯ মঙ্গলবার, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বচ্ছল থাকাটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত এও বলেছেন, ভাতা মুক্তিযোদ্ধা জন্য করুণা নয়, এটা মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার।
যাচাই বাছাই করে গেজেট থেকে কিছু মুক্তিযোদ্ধা বাদ দেওয়ায় বাদ পড়া বিক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে দায়ের করা এক রিটের রায় ঘোষণাকালে মঙ্গলবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তৌফিক এনাম টিপু। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত জানান, রায় ঘোষণাকালে আদালত বলেছেন, ‘যথাসম্ভব স্বশরীরে হাজির হয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করতে হবে।যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেট থেকে বাদ দিতে হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।নোটিশ দিয়ে তাদের বক্তব্য শোনারও নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।একইসঙ্গে আদালত ৯০ দিনের মধ্যে রিটকারী ২০৮ মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
২০১৪ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে একটি তালিকা পাঠানো হয়।ওই তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে ২০১৬ সালে দেশের বিভিন্ন জেলার ২০৮ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বাতিল করা হয়। এরপর সেই বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে একইবছর মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছিলেন। সেই রুলের ওপর আজ রায় দিলেন হাইকোর্ট।