মুক্তিযোদ্ধা সনদ আর আই.ডি কার্ড দেখে যেতে পারলেন না বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রহিম
শরমিতা লায়লা প্রমিঃ একাত্তরের রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডার আব্দুল রহিম গত ১০ই নভেম্বর-২০১৯ রাত ১০.৩০ মিনিটে নিজ বাসায় হার্ড স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন ( ইন্না—— রাজেউন)।তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনও সম্পূর্ণ করা হয়, সব কিছু ঠিকঠাক মতোই হয়েছে। তবে জীবিত থাকতে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল রহিম এর খুবই আশায় বুক বেঁধে ছিল, একটি ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আই ডি কার্ড মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হবে, সেই সনদটি বাঁধাই করে নিজ শোবার ঘরে টাঙিয়ে রাখবে আর আই ডি কার্ডটি গলায় জুলিয়ে চলাফেরা করবে। গর্বে বুকটা ভরে উঠবে, চলার পথে মানুষ জানবে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। বার বার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয় আ ক ম মুজাম্মেল হক, সময় দিয়েছেন, বার বার সময় পরিবর্তন করেছেন, বার বার কমান্ডার আব্দুল রহিম আশাহত হয়েছেন, আমাকে বলেছেন কামাল ভাই মনে হয় আমদের আর মুক্তিযোদ্ধা সনদ আর আই ডি কার্ড দেখা হবে না, আন্যান্য মৃত্যু মুক্তিযোদ্ধাদের মতো এই আশা নিয়েই পরকালে যেতে হবে।
মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল রহিম এর এই আশাহত কথা যখনই মনে পড়ে তখনই চোখের মনি জলে ভাসে, মনে রাগ আর ক্ষোভ জম্মায়, কেন? মন্ত্রী মহোদয় বার বার তারিখ দিয়েও বার বার তারিখ পরিবর্তন করছে আর জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের আশাহত করছে, তার এই অতি কথন একজন মুক্তিযোদ্ধাকে শেষ জীবনে কতটা আশাহত করে মন্ত্রী মহোদয় কি উপলব্ধি করতে পারেন। তাই মন্ত্রী মহোদয়কে সবিনয় অনুরোধ করব আপনি এইভাবে সনদ আর আই ডি কার্ড দেওয়ার নামে আশাহত করবেন না, যখন পারবেন, তখনই তারিখ ঘোষণা করবেন, এই শেষ বয়সে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তামাসা না করলে ভাল হয়, যাতে করে আর কোন মুক্তিযোদ্ধাকে কমান্ডার আব্দুল রহিম এর মতো আশাহত হয়ে মরতে না হয়।