
মুন্সীগঞ্জের সন্তান আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী হিসাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে জেলে ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন, এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে সরাসরি অংশ নিতেন।
শ্রীনগর উপজেলা ভাগ্যকুলে তার জম্ম, তিনি আজ মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যালয়ে আসেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বঙ্গবন্ধুর চীফ সিকিউরিটি অফিসার আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন এর সাথে দেখা করার জন্যে, দুই জনের মধ্যে আন্তরিকতার সাথে আলাপ হয়।
তিনি আগরতলা যরযন্ত্র মামলার আসামী হিসাবে জেলে বন্ধি থাকা সময়ের কিছু সৃতিচারন করে বলেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন মহান নেতা, সততা মানবিকবোধ ভালোবাসা ছিল তার অন্তর জুড়ে, তিনি সব সময় আগরতলা মামলার আসামীদের বিষয় খোঁজখবর নিতেন। তৎকালীন পাকিস্তানী সরকার বিশেষ ট্রাইভ্যুনাল গঠন করে মামলা পরিচালনা করছে, লক্ষ্য ছিল সাজানো মামলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা।

১৯৬৯ সালে সার্জেন্ট জহিরুল হককে হত্যার পর ষড়যন্ত্রমুলক আগরতালা মামলা প্রত্যাহারে সারা দেশে যে গনআন্দোলন শুরু হয়, এবং আন্দোলন গন অভ্যুধ্যানে রুপ নেয়, সেই সময় ট্রাইভ্যুনালের জজ আদালত ছেড়ে পালিয়ে যান, তখন জনতার দাবীর কাছে নতি স্বীকার করে বঙ্গবন্ধুকে তৎকালীন পাকিস্তানী সরকার মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়, তখন বঙ্গবন্ধুর সাথে আমরাও মুক্তি পাই।
মোঃ মহিউদ্দিন সম্পর্কে তিনি বলেন, ঢাকার লক্ষ্মীবাজার সোনারবাংলা ক্লাবে তখন অন্যান্য ছাত্রনেতাদের সাথে মোঃ মহিউদ্দিন ভাই আড্ডা দিতেন, তখন মহিউদ্দিন ছিলেন ছাত্রনেতা।সেইখান থেকেই তার সাথে আমার পরিচয় হয়। তাছাড়া তিনি যখন বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন তখনও মহিউদ্দিন ভাই এর সাথে যোগাযোগ ছিল। আমদের মহিউদ্দিন ভাই বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিতেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাজনীতি প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলি, তেমনভাবে আর রাজনিতিতে ফিরে আসা হয় নাই। কামাল উদ্দিন আহাম্মেদ, সম্পাদক, চেতনায় একাত্তর