শামিম হোসেনঃ জামাত-বি এন পি- জঙ্গি- রাজাকার আর যুদ্ধাপরাধীদের শত মিথ্যাচার-চক্রান্ত- ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশ্ররত্ন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ ( ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ) বিনির্মাণে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন আর অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কিছু স্বার্থপর সুবিধাবাদী আছে (বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি বিদেশ থেকে নিয়ে আসি আর চাটার দল সব চেটে পুটে শেষ করে দেয়, আমার নিরিহ মানুষ কিছু পায় না) যাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা কর্মী থেকে নেতা বানিয়েছে, যাদের নেতা থেকে এম.পি বানিয়েছেন, এম.পি থেকে মন্ত্রি বানিয়েছেন, তাদের মধ্যে কিছু অতি লোভী আছে যারা যে কোনভাবে আরও আরও বড়, মহাশক্তিশালী হতে চায়, তারা ক্ষমতা পাইয়া ধরাকে সরা মনে করছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করার মতো শাহস দেখাচ্ছেন, আওয়ামী লীগের নীতি আদর্শকে অমান্য করছেন, বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-শেখ হাসিনা সর্বোপরি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হৃদয় স্পন্দন নৌকা মার্কাকে অসম্মান করে পদ দলিত করে নৌকাকে পরাজিত করতে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছিলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে তারা নৌকা মার্কার বিরোধিতাকারী, তারা আবার বড় গলায় বলে নৌকাকে ফুটা করছি কি হয়েছে, আওয়ামী লীগ ছাড়ি নাই, কে কি করে দেখবো অমুক তমুক নেতা, এমপি, মন্ত্রী আমাদের সাথে আছে, যারা এম পির- মন্ত্রীর প্রার্থীকে( বিদ্রোহী) ভোট দেয় নাই তাদের দেখাইয়া দিমু ভয় ভীতি দেখাচ্ছে, মারধোর করছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারিদের সভ্য ভাষায় বলা হয় বিদ্রোহী, শ্রমিক বিদ্রোহীরা গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ করতে চেয়েছিল, সেনা বিদ্রোহীরা বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করলো, ছাত্রলীগের বিদ্রোহী নুরা কোটা আন্দোলনের নামে জামাত-শিবিরের পরিকল্পনা মতে বঙ্গবন্ধু কন্যা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ক্ষেপীয়ে তুলেছিল,এই হল বিদ্রোহীদের চরিত্র, উপরেরটা খাবে আর নিচেরটা চাটবে, সুযোগ মত হিন স্বার্থে আওয়ামী লীগের, বঙ্গবন্ধু কন্যার ক্ষতি করবে ।
ইতিপূর্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের দল থেকে বহিস্কারের কথা বলেন, জানা যায় বহিস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদকও একই মতামত ব্যাক্ত করেন। সারাদেশ-এ তৃণমূলের কমিটি গঠন কার্যক্রম শুরু হয়েছে, অনেক স্থানে নৌকা মার্কার বিরোধীদের বাদ দেওয়া দূরে থাক, মন্ত্রী, এম.পির ক্ষমতা বলে নৌকার পক্ষে যারা কাজ করেছেন উল্টো তাদের হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে, কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।আমরা জানি দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল অনেক ভাল, তাই আমরা চাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ইচ্ছার প্রতিফলন বাস্তবায়ন হোক, বিদ্রোহীরা যাতে নতুন কমিটিতে স্থান না পায়, সেই বিষয় নৌকা মার্কার কাণ্ডারিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে ।