কামাল আহাম্মেদঃ বর্তমান সময় চেতনায় একাত্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক- সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের ও সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ এর উপর ভিক্তি করে চেতনায় একাত্তর থেকে এই প্রতিবেদনটি প্রুস্তুত করা হয়েছে, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি চেতনায় একাত্তরের একান্তই নিজস্ব চিন্তা চেতনার বহিঃপ্রকাশ ।
মুন্সীগঞ্জ জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাক্তি আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিনঃ

জেলার ৪৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন জেলার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাসহ দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের সাথেই তার একটা সুসম্পর্ক আছে, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহন করার পর থেকে তিনি জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান -মসজিদ-মাদ্রাসা- রাস্তা- ঘাট-উন্নয়নে জেলা পরিষদ থেকে তিনি যথাসাধ্য বরাদ্ধ প্রদান করেছেন। তাছাড়া গরিভ মানুষের চিকিৎসা, শিক্ষার জন্য সহায়তা করেছেন,কর্মসংস্থানে তিনি কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। বিশেষ করে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন, সকল দলের মতের মানুষ এর বিপদ আপদে পাশে থেকেছেন, মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছি, বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকেছি, বঙ্গবন্ধু সবসময় অসহায় নিরিহ মানুষের পাশে থাকতেন, তাদের সুখ দুঃখের কথা ভাবতেন, বঙ্গবন্ধু থেকে আমি যে শিক্ষা পেয়েছি, সেটাকে অনুসরন করেই আমি নিজেকে পরিচালনা করতে চেষ্টা করি। মোঃ মহিউদ্দিন এর বর্তমান জীবনধারায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছায়া লক্ষ্য করা যায়। মোঃ মহিউদ্দিন বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব পালন করছেন। তিন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা জেলার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে জেলার দ্বিতীয় জনপ্রিয় ব্যক্তি অধ্যাপিকা সেগুফতা ইয়াসমিন এমিলি:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসাবে পর পর তিন বারের এম.পি অধ্যাপিকা সেগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এম.পি বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলার ২ নং আসনের সংসদ সদস্য, পর পর দুইবারের মতো এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তাছাড়া ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত কোঠায় এম পি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অত্যন্ত ভদ্র ও সুন্দর মনের মানুষ হিসাবে এলাকায় পরিচিত। তাকে ছোট বড় সকল শ্রেণির মানুষ আপা বলে সম্বোধন করে থাকে, তিনি একসময় জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিমার অত্যন্ত পছন্দের সেগুফতা ইয়াস্মিন এমিলির মুখের মধুর হাঁসি নেতা কর্মী ও সাধারন মানুষের প্রিয়জন হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। তার একটা বড় গুন হোল তিনি বড় বড় সমাস্যাগুলোকে হাঁসি মুখে সমাধান করে ফেলেন। তিনি কাহারো উপর রাগ-ক্ষোভ,মান-অভিনান বেশিক্ষণ মনে রাখেন না, নিজে থেকেই তিনি মীমাংসা করে নেন।পদ্মা সেতু নির্মাণ ও নিজ এলাকার উন্নয়নে তিনি অবদান রেখে যাচ্ছেন, বর্তমানে তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি পদের দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে জেলার তৃতীয় জনপ্রিয় ব্যক্তি মাহি বি চৌধুরী:

মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুরের ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবারের সন্তান মাহি বি চৌধুরী, তার দাদা কফিলদ্দিন চৌধুরী ছিলের বঙ্গবন্ধুর আমলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নেতা, বঙ্গবন্ধুর সাথে তার ব্যক্তিগত পরিচিতি ছিল, স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আন্দোলন করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারত চলে যান এবং স্বাধীন বাংলা সরকারের পক্ষে কাজ করেছিলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। মাহি বি চৌধুরীর পিতা ডাঃ বি চৌধুরী দেশের একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন, ছিলের বিএনপির প্রতিষ্ঠিত সাধারন সম্পাদক, তিনি জিয়া সরকারের আমলে মন্ত্রী এবং খালেদা জিয়া সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলের, এবং কিছুদিন পর তাকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারন করা হয়, এরপর বিএনপি থেকে বাহির হয়ে এসে বিকল্পধারা নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন, মাহি বি চৌধুরী খালেদা সরকার আমলে বিএনপি কনিষ্ঠ সংসদ সদস্য ছিলেন, মাহি সংসদে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বললে এবং শেখ হাসিনা টঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে নিজ নির্বাচনী এলাকায় গেট নির্মাণ করে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানালে মাহির সাথে খালেদা জিয়া আর তারেক জিয়ার মতানৈক্য সৃষ্টি হয়, তরুন সংসদ সদস্য হিসাবে এক সময় মাহির জনপ্রিয়তা তারেককে ছাড়িয়ে যায়, এবং তার বক্তব্যে খালেদা সরকারের অনিয়ম প্রকাশ পাওয়ায় তারেকের ক্ষোভের কারনে মাহিকে একসময় বিএনপি ছাড়তে হয়। মাহির নির্বাচনী এলাকায় তার জনপ্রিয়তা আছে তাছাড়া জেলাব্যাপি তাদের পরিচিতি সাধারন মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখে । গত জাতীয় নির্বাচনে মাহি বি চৌধুরী মুন্সীগঞ্জ ০১ আসন থেকে বিকল্পধারা পক্ষে নৌকা প্রতীক-এ নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ।
মুন্সীগঞ্জ জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে চতুর্থ জনপ্রিয় ব্যাক্তি ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা:

মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্গত গজারিয়া উপজেলার মেয়ে ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা, ছিমছাম গড়নের সুন্দরী মেয়ে ইন্দিরা স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন, কলেজ জীবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ইডেন কলেজ শাখার পক্ষে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু তাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন, বঙ্গবন্ধুই তাকে ইন্দিরা নাম দিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তুমিই আমাদের ইন্দিরা, রাজনীতির বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী ইন্দিরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে অবদান রেখেছেন এবং মহিলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার ক্ষেত্রে তিনি প্রয়াত বেগম আই ভি রহমানের সাথে কাজ করেছিলেন, দায়িত্ব পালন করেছেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদের, এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার আমলে তিনি পর পর দুইবারের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত এম পি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের তিনি শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন, দীর্ঘদিন পর মুন্সীগঞ্জ জেলা থেকে তিনি মন্ত্রী হয়েছেন। ইতিপূর্বে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মুন্সীগঞ্জের কোরবান আলী ছিলেন তথ্য মন্ত্রী । ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরার মন্ত্রী হওয়ার খবরে মুন্সিগঞ্জ জেলার মানুষের মাঝে খুশীর হাওয়া বহে, ইন্দিরা জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় মুন্সীগঞ্জের মানুষ তাকে তেমন একটা চিনতো না, জানতো না । শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য আছে, তার পিতার নামে তাদের দানকৃত জায়গায় কলেজ প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে তারা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সঙ্গত কারনেই মুন্সীগঞ্জ জেলার মানুষ আশাবাদী মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা জেলার উন্নয়ন ও কল্যানে অবদান রেখে যাবেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে পঞ্চম জনপ্রিয় ব্যক্তি নূহ –উল-আলম লেনিন।:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কবি নূহ-উল-আলম লেনিন। নূহ-উল-আলম লেনিন ১৯৪৭ সালের ১৭ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জের রাণীগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দুই কন্যাসন্তানের জনক লেনিনের স্ত্রী অধ্যাপিকা কাজী রোকেয়া সুলতানা একজন সাবেক ছাত্রনেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও নারীনেত্রী।নূহ উল আলম লেনিন একজন লেখক রাজনীতিবিদ ও গবেষক তিনি মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে তার প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন, বিশেষ করে পুরাকীর্তি আবিষ্কারের বিষয় অবদান রেখে যাচ্ছেন। নূহ-উল-আলম লেনিন রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক ও বিভিন্ন মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি সৃজনশীল সাহিত্যকর্মেও রেখেছেন উজ্জ্বল স্বাক্ষর। একাধিক জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার রচনা এবং দলের ঘোষণা পত্র ও কর্মসূচি প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কর্মকৌশল নির্ধারণ ও ভবিষ্যৎ-রূপকল্প নির্মাণে রেখেছেন অমূল্য অবদান।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী নূহ-উল-আলম লেনিন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ, ছাত্র ও কৃষক আন্দোলনের সংগঠক। রাজনৈতিক কারণে একাধিকবার কারা-নির্যাতন ভোগ এবং বিভিন্ন সময়ে আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। মূলধারার রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একজন হিসেবে গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং জাতীয় অগ্রগতির সংগ্রামেও মূল্যবান অবদান রেখেছেন। প্রায় দুই দশক ধরে সম্পাদনা করছেন মুক্তচিন্তার সাময়িকী ‘পথরেখা’। কলাম লেখা, মৌলিক গ্রন্থ রচনা এবং কাব্যচর্চা ছাড়াও গড়ে তুলেছেন ‘বিক্রমপুর জাদুঘর’, ‘বঙ্গীয় গ্রন্থ জাদুঘর’ ও ‘জ্ঞানপীঠ স্বদেশ গবেষণা কেন্দ্র’।
নূহ-উল-আলম লেনিন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন’-এর সভাপতি। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ঐতিহ্য অন্বেষণ’-এরও অন্যতম ট্রাস্টি এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার মানুষের কাছে একজন সৃজনশীল রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন।