চেতনায় একাত্তর ডেস্কঃ আমরা ছোটকালে গোল্লাছুটের মত একটি খেলা খেলতাম, সবাই গোল হয়ে দাঁড়াতাম, আর একজন আমাদের বাঁধা ডিঙিয়ে ভিতরে ডুকার চেষ্টা করত, যার কাছ দিয়েই ডুকার চেষ্টা করত, সেই বলতো এইখান দিয়া যাবি খাইট্যাঁর বাড়ী খাবি, এইখান দিয়া যাবি হাছনের বাড়ি খাবি, এইখান দিয়া যাবি লাঠির বারী খাবি ইত্যাদি বলতো, কোন দিক দিয়ে যখন ডুকতে পারতো না, তখন সে জোর করে হাত সরিয়ে ভেতরে ডুকে পড়তো। এই কথাটা এই জন্য বললাম যখন রহিঙ্গারা বাংলাদেশ-এ ডুকার জন্য বার্মা বর্ডার আর নু-মেনছ এলাকায় জড় হতে থাকে তখন বাংলাদেশ এর বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষে নেতারা যাদের অধিকাংশ বিএনপি-জামাতি,আর আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে পাকিস্তান আর লিবিয়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ-এ ডুকানের বিষয় সোচ্চার ছিল,
মানবতা মানবতা বলে চিল্ল্যাইয়া গলা ফাটাইতো আর পাকিস্তানী, জামাতি স্বাধীনতা বিরোধীরা মুসলমান, মুসলমানদের রক্ষা কর,রক্ষা কর বলে হৈচৈ লাগিয়ে দেয়, এইটা ছিল সম্পুন্ন লোক দেখানো, অসৎ রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত, বাংলাদেশকে বিপদে ফেলা আর দেশ এর অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বে সম্মানজনক অবস্থান নিয়েছে, কোনভাবেই যখন শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না, তখন এই রহিঙ্গাদের নিয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে নেমেছিল বিএনপি-জামাত আর তাদের
সাঙ্গপাঙ্গরা,রহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে ফেরত যেতে না পারে যেইজন্য রহিঙ্গা জঙ্গি সন্ত্রাসীদের জোটবদ্ধ করে বাংলাদেশ এর অভ্যন্তরে স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্দোলন গড়ে তুলতে নানা ভাবে ফন্দিফিকির করা হচ্ছে, এই কাজের মদদদাতা হল বিএনপি জামাত,পাকিস্তান ঘরনার বাংলাদেশ বিরোধী কিছু এনজিও এবং পাকিস্তান-লিবিয়াসহ কিছু দেশ যারা একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে ছিল, যারা ছিল হানাদার পাকিস্তানীদের দোসর, তারাই আজ রহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়ে তাদের দেশ-এ ফেরত না যাওয়া এবং এই দেশ-এ থেকে যাওয়ার জন্য ইন্দন দিচ্ছে যাতে করে এই রহিঙ্গাদের দিয়ে তারা জঙ্গিবাহিনী, সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করে,আমাদের ত্রিশ লক্ষ শহীদ এর রক্তে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থহীন করে ধ্বংস করা যায়, এইটা একটা আন্তর্জাতিক ণীলনকশা,আজ যাদের রোহিঙ্গাদের জন্য দরদ উতলে পরে, কৈ তারা তো( পাকিস্তান,লিবিয়াগং)বলে না আমাদের দেশ-এ দুই লক্ষ রোহিঙ্গা নিয়ে যাব, ইত্যাদি।
নিহায়েত মানবতাবোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে আশ্রয় দিয়েছে, খাবার দিয়েছে,থাকার জায়গা দিয়েছে, এটা জেনে বুজেই যে আমাদের ক্ষুদ্রভুমির অতি জনসংখ্যা দেশ বাংলাদেশ, এই রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের ঐ এলাকার মানুষের কষ্টের সীমা নেই, অথচ যাদের জন্য আমরা এই ত্যাগ স্বীকার করলাম তাদের নুন্যতম কৃতজ্ঞতাবোধ আছে বলে তাদের কৃতকর্মে মনে হয় না, ইদানীং রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ বিরোধী আন্দোলন সভা–সমাবেশ শুরু করে দিয়েছে, নিজেদের মধ্যে তৈরি করছে সন্ত্রাসী গ্রুপ, গোপনে এই সন্ত্রাসী গ্রুপের অস্র ট্রেনিং দেওয়ার খবরও পাওয়া যায়, রোহিঙ্গা মানেই আতঙ্ক, রোহিঙ্গা মানেই সন্ত্রাসী, রোহিঙ্গা মানেই মাদক ব্যবসায়ী এই কথা আজ সকল মহল উপলব্দি করতে পারছে, শুধুই পারছে না জামাত- বিএনপি আর স্বাধীনতার বিরোধী,
পাকিস্তান প্রেমিক লোকজন কারন তাদের লক্ষ্য রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানো যা দিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের ও রাজনৈতিকভাবে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া এবং রোহিঙ্গারা সেই ফাঁদেই পা দিয়েছে বলে মনে হয়। আজ রোহিঙ্গাদের নিরাপদ বার্মা ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হলেই রোহিঙ্গারা নানা ধরনের লিখিত দাবী তুলে ধরে, বাংলাদেশের নিজস্ব ভুমিতে রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা নিরাপদ বাসস্থান তৈরি করে সেখানে যাওয়ার কথা বলা হইলে, তারা সেখানে না যাওয়ার আন্দোলন শুরু করে দেয়।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় শেখ হাসিনা যেই সিদ্ধান্তেই নিবে, পাকিস্তানী দোসর বিএনপি, জামাত পাকিস্তানি চর তারেক এর নির্দেশে ভালমন্দ সব কিছুতেই সমালোচনা করবে, ইস্যু তৈরি করে দেশ-এ মুসলমান নাম ভাঙ্গিয়ে অরাজকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করবে। আমরা বীরের জাতি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা পাকি হানাদারদের পরাজিত করে জয়ী হয়েছি, আমরা কোন ষড়যন্ত্রেই ভয় পাই না।
সেই ছোট বেলার গুল্ল্যা ছোট খেলার মতো আমাদের সকল প্রতিবন্ধকতাকে ভেঙ্গে এই রোহিঙ্গা ষড়যন্ত্র উদ্ঘাটন করে তাহা নির্মূলে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে হবে, প্রয়োজনে আর্মি – বিবিজি, পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি বেসরকারি বাহিনী গঠন করে রোহিঙ্গাদের বেরিকেট দিয়ে রাখতে হবে যতদিন তারা নিজ দেশে ফিরে না যায় ততদিন তাদের এই ভাবেই রাখতে হবে, সন্দেহজনক বহিরাগত ক্যাম্পে প্রবেশে সতর্ক থাকতে হবে।
একটা বিষয় বহুল প্রচারিত কিছু জঙ্গি-বিএনপি,জামাত,সিবিরের অপরাধী, দাগী অপরাধী ছদ্ধবেশে রোহিঙ্গা সেজে রোহিঙ্গাদের সাথে মিশে আছে, চিরনি অভিযানের মাধ্যমে তাদের ধরতে হবে। তারাই রোহিঙ্গাদের অর্থের বিবিময়ে নানা ধরনের অপকর্ম করাচ্ছে, নিজেদের পরিকল্পনা মতে এগুচ্ছে।
রোহিঙ্গারা মুসলমান বলে প্রচার চালাচ্ছে, যাতে আমাদের ধর্মপ্রান মুসলমানদের সহানুভূতি আদায় করা যায়, কখনও রোহিঙ্গাদের অপকর্মের বিষয়গুলো বলা হয় না, রোহিঙ্গারা মুসলমান ঠিক, আমরা তাদের বিপদের সময় আশ্রয় দিয়েছি, আমরা আশ্রয়দাতা, আশ্রয়দাতার প্রতি কি ধরনের আচরনের কথা বলে ইসলাম, রোহিঙ্গারা কি সেই কাজটি করেছে, মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করেছে, তাদের আন্দোলন প্রতিবাদ হবে বার্মার বিরুদ্ধে অথচ তাদের আন্দোলন বাংলাদেশ বিরোধী, মুসলমানরা কি মুসলমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নাই, মধ্যপ্রাচ্যে কি হচ্ছে, আর এই মহরম মাসে হযরত মোহাম্মদ(সঃ) এর দৌহিত্র হযরত হোসেন (রাঃআঃ)কে কারবালা প্রান্তে হযরত মাবিয়া (আঃ) পুত্র ইয়াজিদ নির্মমভাবে পাষণ্ডের মতো হত্যা করে নাই? আমাদের মুসলমানদের মধ্যেই ইয়াজিদের চরিত্র বহমান সেই চরিত্র রোহিঙ্গাদের মধ্যে আছে, তাই ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, হত্যা ইসলাম সমর্থন করে না, তাই রোহিঙ্গারা যদি এই অপকর্ম করে এই দেশের মানুষ কোনক্রমেই ছাড় দেবে না কারন এইটা আমাদের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বের বিষয়।
একসময় দেখা যাবে রোহিঙ্গারা আলাদা ভুমি দাবি করবে, টেকনাফ,কক্সবাজার রোহিঙ্গা রাষ্ট্র দাবি করবে,যা ইতিমধ্যে মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রসমুহ রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা ইসলামিক রাষ্ট্র দাবি করছে, যা একসময় জঙ্গি আন্তর্জাতিক ইসলামিক ষ্টেট এর সাথে যুক্ত হবে, নানাভাবে বাংলাদেশ বিরোধী দেশসমুহ বিশেষ করে পাকিস্তান,লিবিয়া লবিং বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে এই ধরনের অশুভ পরিকল্পনায় লিপ্ত আছে। রোহিঙ্গা বিষয় আর সময় নষ্ট না করে এখনই তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেওয়া অপরিহার্য বলে মনে করি। নচেৎ বান্দরবন, চিটাগাং, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি থেকে ফেনী পর্যন্ত আরাকান রাজ্য নামে আলাদা ভুমি দাবি করে রোহিঙ্গা রাষ্ট্র নামে আন্দোলনে নেমে যেতে পারে তখন দেখা যাবে এই বার্মাই রোহিঙ্গাদের অস্র, অর্থ দিয়ে সরাসরি সহযোগিতা করবে,
এই আশঙ্কাকে সামনে রেখেই রোহিঙ্গাদের নিজ ভুমি বার্মায় ফেরত পাঠাতে হবে, এই কথাটা বলতেই হয়, যা রোহিঙ্গাদের জন্য প্রযোজ্য- দাঁড়াইতে দিলে,বসবে,বসতে পারলে, শুইবে, একবার শুইতে পারলে, আর যায় কোথায় আর জাগবে না, জাইগা জাইগা ঘুমাবে, উপকারীর উপকারিতা ভুলে যাবে, পরের ভুমিকে নিজ ভুমি বানাতে নানা ধরনের অপকর্মে জড়াবে আর তাদের এই অপকর্মের আগুনের ফুরঙ্গিতে তৈল-ঘৃত ডালার লোকের অভাব হবে না, এতো পরিমানে তৈল, ঘৃত ডেলে দিবে যাতে আগুনের এই ফুরঙ্গি দাবানলে পরিণত হয় এবং এই দাবানলে বাংলাদেশ জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়, তাদের এই স্বপ্নচারী চিন্তা ভাবনার বিষয় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, প্রয়োজনে তাদের সৃষ্ট দাবাননে তাদের ষড়যন্ত্রকে দাহ করতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহাম্মেদ, সম্পাদক, চেতনায় একাত্তর