
শরমিতা লায়লা প্রমিঃ আমরা স্কুল জীবনে পাঠ্য সূচীতে ভূগোল বই-এ পড়তাম বাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল এলাকাভুক্ত অর্থাৎ আমাদের দেশে জলবায়ু বেশী গরম ও নয়, বেশী ঠাণ্ডা ও নয়, চমৎকার সহনীয় আবহাওয়া, মানুষের জীবন ধারনের উপযোগী, কালের আবর্তে এই জলবায়ুর পরিবর্তন লক্ষ্যনীয়, আজকাল গরল কালে অসহনীয় গরম পরে আর এই বৎসর শীতে মানুষ কাবু তাই এখন ভূগোলের সে পাঠ আমাদের দেশ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল এলাকাভুক্ত আছে কিনা ভাবতে হবে। আসলে এই শতাব্দীর ২০০০ সনের শুরুতেই বিশ্বব্যাপী পরিবেশ আন্দোলন ব্যাপক ভাবে সারা ফেলে, কলকারখানার ধোয়া, কার্বনডাই অক্সাইড নির্গমন আর পারমানিক চুল্লিও বিষাক্ত গ্যাস বায়ু মণ্ডলে প্রবেশের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে, এর ফলে মানুষের নিরাপদ জীবনধারণ বিপন্ন হয়ে পড়ছে, এন্টার্কটিকা আর সাইবেরিয়া এলাকার বরফ গলছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে, জলমগ্ন হচ্ছে স্থল ভুমি, কমছে মানুষের জীবনধারণ আর বসবাসযোগ্য ভুমি। তাই পরিবেশবাদীগন সকলকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হতে বলছেন। এই বৎসর বাংলাদেশে শীত যেন জাঁকিয়ে বসেছে, কয়েক দশকের মধ্যে এতো শীত অনুভূত হয়নি, মুন্সীগঞ্জের মানুষও প্রচণ্ড শীতে অতিষ্ঠ বিশেষ করে চরাঞ্চলের ও গ্রামঞ্চলের মানুষের শীতের ভোগান্তির শেষ নাই, যারা দিন আনে দিন খায়, দিন মজুর তাদের অবস্থা আরও কাহিল, চেয়ে চিনতে এনে কোন রকম খেয়ে বেচে আছে, তবে সেবা ধর্মী প্রতিষ্ঠান সমুহ, সরকারী, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠা এই সকল অসহায় মানুষের জন্য কিছু না কিছু করছে, অসততা, স্বজনপ্রীতি আর দুর্নীতির জন্য এই সকল সাহায্য অসহায় মানুষের কাছে যৎসামান্য যাচ্ছে, বিভিন্ন মাধ্যমের অনিয়মের ফলে সেবাকারী সংস্থার লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্য শতভাগ সফল হচ্ছে না।
তেমনি একটি মহিলা সংস্থার প্রধান, একজন নারী নেত্রী অ্যাড. সোহানা তাহমিনা নিজ উদ্যোগে অসহায় মানুষের জন্য শতাধিক কম্বল নিয়ে সংস্থায় অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে গ্রামের মানুষের মাঝে বিতরন করেন, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বাতাস আর কনকনে শীতে নারী সোহানা তাহমিনা কুঁকড়ে গেলেন, মনে মনে বলে উঠলেন, কি শীতরে বাবা, পরের দিন নারী নেত্রী দুই শতাধিক কম্বল নিয়ে চরাঞ্চলের অসহায় মানুষের কাছে চলে গেলেন, তাই আমরা যারা শহর এলাকার পাকা বাড়িঘরে বসবাস করছি, শীতকে উপভোগ করছি, গ্রামে চলুন, অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে আপনার যা আছে তা দিয়ে তাদের পাশে থাকুন, দানে আনন্দ পাবেন, আপনার দান পেয়ে গরীব মানুষ খুশী হবেন।