কমান্ডার আব্দুল রহিমঃ মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, আমাদের স্বাধীনতা অর্জন এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জম্মে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর অধ্যায় রচিত হয়ে আছে। আজ একাত্তরের রণাঙ্গনের জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের শেষ প্রান্তে উপনিত সেই মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস ঐতিহ্য প্রতিজন বাঙ্গালীর হৃদয়ে অঙ্কিত হয়ে আছে, প্রজম্মের পর প্রজম্ম এই ইতিহাস বহে চলবে। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নামে সংগঠনের মাধ্যমে যে কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, গুটিকয়েক লোক সুবিধা ভোগ করছে, সেই সুবিধাভোগী লোকদের কর্মকাণ্ডে পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের অর্জিত সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হলেই যে মুক্তিযোদ্ধার আদর্শধারন করবে-তাই নয় কিন্তু, সবাই দরবেশ হবে তাইও নয়।যারা মুক্তিযোদ্ধা পিতার আদর্শকে মেনে দেশের ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে তাদের সংগঠনের প্রয়োজন নাই। কোন অনুষ্ঠানের নামে চাঁদাবাজি করলে, আজ অনুষ্ঠানের নামে যুদ্ধাপরাধীর নিকট চাঁদাবাজি করছে আগামীতে আরও বড় ধরণের কিছু করতেই পারে কারন মুক্তিযুদ্ধ করছি আমরা আমাদের সন্তানরা নয়, কিছু মুক্তিযোদ্ধা এখনও বঙ্গবন্ধুর খুনির দল বি এন পি মুক্তিযোদ্ধা দল আর জামাতের মুক্তিযোদ্ধা পরিষদে আছে।তাদের সন্তানরা কি করবে জানার বিষয় থাকে, আমি মনে করি এই সংগঠনের জম্ম দেওয়া মানে, মুক্তিযোদ্ধাদের ইমেজকে নষ্ট করা, বিরোধ ও বিতর্কে নিয়ে যাওয়া। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, বাঙালী জাতিই মুক্তিযোদ্ধাদের ও সন্তানদের শ্রেষ্ঠ সংগঠন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নিকট বিনীত আবেদন, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ও দিকনির্দেশনায় আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তাই আমাদের শেষ জীবনে আমাদের অর্জনকে কোন-স্বার্থন্বেসীমহল যাতে নষ্ট করতে না পারে সেই বিষয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নিষিদ্ধ করার জন্য আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।। চেতনায় একাত্তর