সম্পাদক, চেতনায় একাত্তরঃ অনেক সময় নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয় দেশবাসির বহু আকাঙ্ক্ষিত রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই পর্যন্ত তালিকায় প্রকাশ পেয়েছে ১০,৭৮৯ জন রাজাকারের নাম, যা পর্যায় ক্রমে আরও রাজাকারের নাম প্রকাশ পাবে।দেশবাসী আশা করেছিল একটি সঠিক স্বচ্ছ তালিকা মন্ত্রনালয় থেকে প্রকাশ পাবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি শুরুতেই প্রকাশিত তালিকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হল। তালিকায় কিছু মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ পেয়েছে যা সত্যিই বেদনাদায়ক, আমার মনে এই ভুল ইচ্ছাকৃত হতে পারে, কারন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে এমন কিছু সরকারি চাকুরীজীবী আছে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে না, যারা বি এন পি – জামাতের রাজনীতির সমর্থক, স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য, তারা হয়তো পরিকল্পিতভাবে এই জগন্য কাজটি করেছে, তাই আমি বলব মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে চাকুরীরত লোকজনদের বিষয় খোঁজখবর নিয়ে এই অপতৎপরতায় জড়িতদের চ্রিহিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
যে সমস্ত একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা বা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের নাম ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বা ভুলক্রমে রাজাকারের তালিকায় প্রকাশ পেয়েছে, তাদের ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে আমাদের বাংলাদেশ, তাদের কাছে বিনিত অনুরোধ আপনারা এই ভুল সংশোধন করে স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশের সুযোগ করে দিন, এমন কিছু করা ঠিক হবে না যাতে করে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশে বাঁধার সৃষ্টি হয়, তা হলে রাজাকার আর তাদের সমর্থকরা সফল হয়ে, পার পেয়ে যাবে একাত্তরের ঘৃণিত স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের সমর্থক শক্তি।
মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর কাছে আমার নিবেন, যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বা তাদের পরিবারের সদস্যদের নাম অন্যায়ভাবে রাজাকারের তালিকায় প্রকাশ পেয়েছে, তাদের কাছে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে, সংশোধন পূর্বক রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করুন, এই কাজটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করুন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে যাতে করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর ঘৃণিত রাজাকারদের ও তাদের সমর্থকদের বিচার সম্পূর্ণ করে বাংলাদেশকে রাজাকার মুক্ত করে আমাদের কলঙ্ক মুক্ত করতে পারে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।