শরমিতা লায়লা প্রমিঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহনের এক নাগাড়ে এগার বছর পেরিয়ে বার বছর গড়িয়ে চলছে, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা একেকজন একেকভাবে ক্ষমতা উপভোগ করছে। কেহ নিজের দল ক্ষমতায় আছে এতেই আনন্দ আবার অনেকে ক্ষমতাকে ব্যবহার করে নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে, কেহ যে কোন ভাবে নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে, ন্যায় অন্যায়ের ধার ধারে না, এই শ্রেণির আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের খুশী করে এক শ্রেণীর বহিরাগত বা অন্য দলের মালধার লোকজন আওয়ামী লীগে ডুকে দেদারছে কামিয়ে নিচ্ছে, এতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার ক্ষতি হচ্ছে কিনা তাতে তাদের কিছু যায় আসে না, এই ধরনের লোকজনই এখন আওয়ামী লীগে দাপটের সাথে বিচরণ করছে এবং আওয়ামী লীগকে খাবলে খাবলে খাচ্ছে, আর সত্যিকারের নেতা কর্মীরা অসহায়ের মতো চেয়ে চেয়ে দেখছে, তবে এই আওয়ামী লীগের বহিরাগতদের পাশা পাশি যারা নিজ স্বার্থে এই সব বহিরাগতদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে, অবৈধ পন্থায় উপার্জনের সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে তাদেরও ধরতে হবে, তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন বলেই বর্তমান পদক্ষেপে ধারনা করা যায়। কারন দলের নাম ভাঙিয়ে ও কোনোভাবে পদ ভাগিয়ে নিয়ে ঢাকা মহানগর পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত যেসব নেতাকর্মী অপকর্মে যুক্ত, তাদের বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন আছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কারো অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বেলায় ‘শূন্য সহনশীল’ (জিরো টলারেন্স) অবস্থানে থাকতে দলের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। পাপিয়াকে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে দলের ঝিমিয়ে পড়া চলমান শুদ্ধি অভিযান আরো জোরালো হয়ে ওঠার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানও কঠোর হচ্ছে। পাপিয়াকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকার গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। তবে যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করার আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা ও তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্র উল্লেখ করে।
গত বছর দলে ‘শুদ্ধি অভিযান’ শুরু হলেও পাপিয়ার মতো বিতর্কিত নেতাকর্মীরা কীভাবে আড়ালেই থেকে গেলেন, এই প্রশ্ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। অভিযানের মধ্যেও কীভাবে পাপিয়ার মতো নেতাকর্মীরা আলোচনার বাইরে রয়ে গেলেন, ওই পরিস্থিতিতেও কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে কে বা কারা তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছিলেন, এমন প্রশ্নে দলেও ‘বিস্ময়ের’ সৃষ্টি হয়েছে।পাপিয়ার পৃষ্ঠপোষক কারা, তাদের খোঁজও বের করার আশ্বাস দিয়েছেন কাদের। অন্যদিকে দলীয় প্রধানের কড়া নির্দেশ থাকলেও তৃণমূল পর্যায়ে অভিযান কেন জোরালো হয়ে ওঠেনি এবং কেন্দ্রীয় পদে থেকে কারা বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে পদ ও আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন, ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকরা এর অনুসন্ধান করছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রতি কোনো রকমের অনুকম্পা না দেখানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের জন্য কেউ তদবির করলে তার পরিচয়সংক্রান্ত তথ্য আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়।