আমার সুভাগ্য বঙ্গবন্ধুর পায়ের তলায় স্থান পেয়েছিলাম, আমার দুর্ভাগ্য বঙ্গবন্ধুর সাথে মরতে পারি নাই। মোঃ মহিউদ্দিন
চেতনায় ডেস্কঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীফ সিকিউরিটি অফিসার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মহিউদ্দিন খ্যাত মুন্সীগঞ্জের মহিউদ্দিন যিনি বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম আর ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মোঃ মহিউদ্দিন ছিলের বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী তাকে বঙ্গবন্ধুর বডি গার্ডও বলা হতো। তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সামরিক সরকার এর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে যখন আন্দোলন সংগ্রাম চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছে এবং ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের প্রচার কাজে বঙ্গবন্ধু যখন সারা দেশব্যাপী প্রচারে ব্যস্ত তখন বঙ্গবন্ধু মোঃ মহিউদ্দিনকে ঢাকা, ধানমণ্ডি নিজ বাসায় থাকার ব্যাবস্থা করে দেন, তখন মোঃ মহিউদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন, মোঃ মহিউদ্দিন ইকবাল হল থেকে সরাসরি বঙ্গবন্ধুর বাসায় উঠেন এবং স্বাধীনতার পর ১৯৭৩-৭৪ সালে মোঃ মহিউদ্দিন বিবাহ করে প্রথম কাঁটাবনে ভাড়া বাসায় পরে মোহাম্মদপুর বাসায় বসবাস করেন। প্রতিদিন সকাল ৮ টায় মোঃ মহিউদ্দিন বঙ্গবন্ধুর বাসায় চলে যেতেন এবং রাত ১১-১২ টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করতেন।বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা যেমন মোঃ মহিউদ্দিনকে সন্তানতুল্য স্নেহ করতেন তেমনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মোঃ মহিউদ্দিনকে নিজেদের পরিবারের একজন মনে করতেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতের আধারে খুনিরা যখন বঙ্গবন্ধুকে স্ব- পরিবারে হত্যা করে, সেই দিন রাতে বঙ্গবন্ধু পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলোচনা শেষে রাত প্রায় ১১ টার সময় মোঃ মহিউদ্দিনকে নিজ বাসায় যেতে বলেন এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ পেয়ে মোঃ মহিউদ্দিন নিজ বাসায় চলে আসেন।

শ্রীনগর উপজেলাধিন রাড়িখাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকেন, তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতার কথা এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের আদর-স্নেহ-ভালোবাসার উদাহরণ স্বরূপ কিছু ঘটনা উল্লেখ করার এক পর্যায় তিনি আবেকঘন কণ্ঠে বলেন, আমার সুভাগ্য আমি বঙ্গবন্ধুর পায়ের তলায় স্থান পেয়েছিলাম, আমার দুর্ভাগ্য আমি বঙ্গবন্ধুর সাথে মরতে পারি, এই কথা বলার পর রুমাল দিয়ে চোখ মুছতে দেখা যায় । লেখকঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহাম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ
Comments are closed.