করোনা ভাইরাস হিজিকে মুখোস কালচার, অপরাধীরা সক্রিয়,সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

শরমিতা লায়লা প্রমিঃ কাহারো পৌষ মাস আবার কাহারো সর্বনাশ, আমাদের সমাজে একশ্রেণীর সুবিধাবাদী আছে, যারা দেশের যে কোন দুর্যোগময় সময় নিজের লাভবান হওয়ার সুযোগ খুঁজে নেয়, বিপদ গ্রস্থ্য ব্যাক্তি মরলো না বাঁচলো তাতে তার নুন্যতম মানবিকবোধ নাই, যেমন ঈদ উৎসবে যানবাহন মালিকরা পরিবহণ ভাড়া দিগুণ, তিনগুণ বাড়িয়ে দেয়, বাজারে জিনিসপত্রের চাহিদা বেশি হলে মজুতদার আর পাইকাররা জিনিসপত্রের দাম কয়েকগুণ দাম বাড়িয়ে দেয়।
এখন সারা বিশ্বের মানুষ করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ভুগছে, আমাদের দেশর মানুষও এই করোনা আতংকের মধ্যে আছে, করোনা থেকে বাঁচতে অনেকেই মুখোশ ব্যাবহার করছে, আর এর সুযোগ নিয়ে মুখোশ ব্যবসায়ীরা মুখোশের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছে, বিপদ গ্রস্থ্য মানুষ বেশি দাম দিয়েই মুখোশ কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
মুল কথা হল, সাধারন মানুষ এই মুখোশের কারনে ভয়াবহ বিপদের মধ্যে আছে, যে কোন সময় চোর- ডাকাত- ছিনতাইকারী আর খুনি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে, মুখোশ অপরাধীদের জন্য অপকর্ম করার সুযোগ করে দিয়েছে, এখন অপরাধিরা মুখোস পরে সাধারন মানুষের সাথে ঘুরে বেড়াবে, সুযোগ মত অপরাধ করে মুখোশধারী অপরাধী মুখোশ পরিধানকৃত সাধারন মানুষের সাথে মিশে যাবে, এতে করে অপরাধী অনেক নিরাপদে পার পেয়ে যাবে, তাছাড়া শিশুরা যদি মুখোশ পরে স্কুলে বা ঘুরতে যায় অপরাধীরা সহজে শিশু অপহরণ করতে পারবে কারন মুখোশ পরা অপরাধীকে যেমন চিনতে পারা যাবে না তেমনি মুখোশ পরা শিশুকেও সহজে চিনতে কষ্ট হবে।
তাই এই ক্ষেত্রে আমাদের মুখোশের বিকল্প কিছু ভাবতে হবে আর আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে এই বিষয় নতুন করে ভাবতে হয়ে, কি ভাবে মুখোশধারী অপরাধীকে শনাক্ত করা যায়, পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়া মুখোশ না পড়া, চলাফেরায় সতর্ক থাকা।