রিকাবি বাজারের রাস্তায় ঈদের বাজারে গরু-ছাগল চড়ে বেড়াচ্ছে
কামাল আহাম্মেদঃ ১৯মে ২০২০, রাজা বল্লাল সেন এর বাড়ির কপাল দুয়ারখ্যাত হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা কেন্দ্র রিকারি বাজারের ঈদের বাজারে দিনে দুপুরে ছম ছম অবস্থা বিরাজ করছে, দুই একজন লোক চোখে মুখে আতঙ্ক নিয়ে আসা যাওয়া করছে, প্রস্থ রাস্তায় গরু ছাগল চড়ে বেড়াচ্ছে, বাজারের কুকুরের দল আর দেখা যায় না, শোনা যায় না কুকুরের ঘেও ঘেও চিৎকার।

অথচ গত বৎসরের ২৪ রমজানের ইদের বাজারে বাজারের রাস্তা দোকান ছিল লোকে লোকারণ্য তিল ধারনের জায়গা ছিল না, দোকানদার আর নানা বয়সী ক্রেতাদের হাক ডাক আর দামাদামি আর শোরগোল-এ বাজার গমগম করতো।
অথচ আজকের এই দিনে ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের আতংকে বাজারে লক ডাউন চলছে, চলছে সাধারন ছুটি শুধুমাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান বিকাল ০২ টা আর ঔষধের দোকান রাত ০৮ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যায়।
এই অবস্থায় খুবই বেহাল অবস্থা রিকাবি বাজারের পাচ শতাধিক খুদ্র ব্যবসায়ী, যারা মহিলাদের কাপড়, থান কাপড়, সকল বয়সী ছেলে মেয়েদের রেডি মেইড জামা কাপড়, জুতা- স্যান্ডেলের দোকান, কসমেটিক্স সামগ্রীর দোকান, বেকারি আর ষ্টেশনারীর দোকান, হার্ডওয়ার ও বাসনপত্রের ব্যবসা অন্যতম, তাছাড়া ফুটপাত আর রিস্কা বেন গাড়ীতে অসংখ্য ভাসমান বসে, এতে প্রায় হাজার খানেক পরিবারের ভরন পোষণের ব্যবস্থা থাকে।
রিকাবি বাজারের এই ব্যবসায়ীরা ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তাদের ব্যাক্তিগত কোন জমানো টাকা তেমন থাকেনা তাদের ব্যবসার আয় উপার্জন ব্যবসায় প্রসার বাড়ে বা কমে, বিগত লক ডাউনের তিন মাসে তারা জমানো টাকা এবং ধার দেনা করে পরিবারের ভরণপোষণে ব্যয় করে ফেলছে এবং তারা ঈদকে উপলক্ষ করে প্রতি বৎসরের ন্যায় বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যাক্তি থেকে সুদে ধার নিয়ে ও বাকিতে দোকানে মালপত্র তুলেন।
কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে বাজারের দোকান বন্ধ থাকায় তারা পথে বসার অবস্থায় পরেছে, কিভাবে ধারদেনা পরিশোধ করবে কিভাবে পরিবার পরিজনের ভরন পোষণের ব্যবস্থা করবে তাহা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছে, তারা করোনার ভয়ের চেয়ে পরিবারের সদস্যদের মুখের আহার আর দেনাধারের ভয়ই বেশি করছে, রিকাবিবাজারের এই অসহায় ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে, এই বিষয় বাজার কমিটির সভাপতি/ সাধারন সম্পাদক বিনীত আবেদন করেন যদি মাননীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মেয়র ঈদের পূর্বের চারদিন ২৬ থেকে ২৯ রোজা পর্যন্ত দোকান সমুহ খোলা রাখার ব্যবস্থা করে দেন তাহলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও ধারদেনা পরিশোধ করে পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করেন। পরিশেষে কবিতার ভাষায় বলতে চাই—-
“বড় দুঃসময় গেছে বাহান্ন,একাত্তর,পচাত্তর,
এমনি ভাবে নব্বই- ওয়ান ইলেভেনে..
দুঃসময় এখনো, করোনা ভাইরাস,
এমনিভাবে বাঙালীকে দাড়াতে হয়,
বুক উঁচিয়ে, জয় বাংলা ধ্বনিতে,
যেমনি সাহস যুগিয়েছিলে” বঙ্গনন্ধু”
তেমনি করে আমাদের মনে শক্তি যোগায় ,
আছ তুমি পাশে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।।
লেখক, সম্পাদক, চেতনায় একাত্তর